জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
জামের ১0টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
জাম ফলটি সকলে পরিচিত একটি ফল যা সকলেই খেতে পছন্দ করে তাই আজকে জাম এর
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানব, মৌসুমী ফলগুলির মধ্যে জাম একটি উন্যন, জাম
সাধারণত গ্রীষ্মকালীন সময়ে পাওয়া যায়, জুন থেকে অগাস্ট পর্যন্ত, এই সময় টার
মধে জাম বেসি পাওয়া যাই। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলির মধ্যে জাম একটি অনন্য তাহলে
চলুন -জাম এর উপকারিতা সম্পর্কে জানব, এই জামটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন ও ভিটামিন সি লৌহ । জামের বীজ ও পাতা আয়ুর্বেদিক
ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, জামের রং বেগুনি ও কালো।
- ত্বকের সমস্যা সমাধান করে
- হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে
- ইনফেকশন দূর করে
- জন্ডিস ও আনমিয়া নিরাময় করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
- দেহে অনোমিটি বৃদ্ধি করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- রক্ত শূন্যতা দূর করে
- মারি ও দাঁত মজবুত করে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
জামের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি থাকায় শরীলে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে
পারে তাই আমনিও জাম ফলটি খাদ্য তালিকা হিসেবে রাখতে পারেন।
ত্বকের সমস্যা সমাধান করে:
জামের মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকার কারণে ত্বককে
কোমল ও নরম করে তোলে।
হারের শক্তি বৃদ্ধি করে :
জাম ফলটিতে থাকা ক্যালসিয়াম লৌহ আইরন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, এতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে, যা সু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী জামের ভিতরে থাকা ক্যালসিয়াম আয়রন পটাশিয়াম যা খুবই চমৎকার হিসেবে কাজ করে তার পাশাপাশি হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোগীর জন্য জাম ফলটি খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
ইনফেকশন দূর করে:
জাম ফলটিতে রয়েছে ফলিক এসিড ও গেলিক এসিড ইস্কলিক এসিড এবং টেনিস এর
মত যৌগ রয়েছে তা ফলটিকে এন্টি মেলেরিয়াল এন্টি গেলেরিয়াল এবং গেস্ট্রো
প্রতিরক্ষামূলক হিসেবে জাম ফলটি কাজ করে জাম ফল টিতে থাকা এসব
বিষাক্ত ইনফেকশান দুর করতে সাহায্য করে।
ghgজন্ডিস ও অ্যানিমিয়া নিরাময় করে:
জামের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান গুলোর মধ্যে আয়রন এটি একটি অন্যতম আয়রন দেহের
বিভিন্ন উপকার করে, যা জন্ডিস ও অ্যানিমিয়া নিরাময় করতে সাহায্য করে, তাছাড়া
যারা বিভিন্ন প্রকার আয়রন সমস্যায় ভুগতেছেন তারা এই জাম ফলটি খাদ্য
তালিকায় হিসেবে রাখতে পারেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে:
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, জে এস সি ও জেগেটিক গবেষণায় দেখা গেছে
যে এন্টি অক্সিডেন্ট ও রাডিকাল এর বিরুদ্ধে কাজ করে ,যা প্রমান করে যে জামের
নিজাস ক্যান্সার হওয়া থেকে রক্ষা করে, তাই আপনিও জাম ফলটি খাদ্য তালিকা হিসেবে
রাখতে পারেন।
দেহে এমোনিটি বৃদ্ধি করে:
জাম ফলটি দেহে এমোনিটি সিস্টেমকে আরো বৃদ্ধি করে, এতে থাকা
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে ভাই লেভেল ও সাধারণ সিজনালী সমস্যার সঙ্গে
যুদ্ধ করে শরীলের এমোনিটি সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করে তোলে, তাই আপনিও জাম
ফলটি খাদ্য তালিকা হিসেবে রাখতে পারেন।
ডায়াবেটিস্ক নিয়ন্ত্রণ করে:
জামে রয়েছে আরও বেশি পরিমাণে এন্টি অক্সিজেন যার কারণে রক্তের যে চাপ রয়েছে
সেটি নিয়ন্ত্রণ করে যার কারণে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে এর কারনে ডায়াবেটিক
নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা সম্ভব তাছাড়া, তাই ডায়াবেটিস রোগীকে বেশি পরিমাণে
জাম খাওয়ার জন্য উৎসাহ করুন।
রক্ত শূন্যতা দূর করে:
জমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাডিয়ে তুলে রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে, আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত রক্তশূন্যতার কারণে অনেক মানুষ মারা যায়, তাই আমরা সকলেই জাম খাব এবং পাশাপাশি ছোট বড় সকলকেই জাম খাবার প্রতি উৎসাহ করব।
মাড়ি ও দাঁত শক্ত করে:
জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ফসফরাসের মত ক্ষনিজ উপাদান, যা আমাদের
মাড়ির দাঁত শক্ত করে তুলতে সাহায্য করে,
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
জামে ফাইবার বেশি থাকে ও ক্যালরি কম থাকে যার ফলে আমাদের শরীলের ওজন
কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জামের অপকারিতা:
জামে মধে ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ভিটামিন সি আয়রন ইত্যাদি থাকার কারণে , অপকারের
দিক নাই বললেই চলে, তাই আপনি অপকারের দিক মাথায় না রেখে অনায়াসে জাম খেতে
পারেন।
শেষ কথা: জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এতক্ষণে আমরা যে জাম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে আমরা যা লিখেছি জাম পছন্দ করে না এরকম মানুষ আমাদের সমাজে নেই বললেই চলে, জাম খাওয়া যে উপকার আছে তেমনি অপকারও আজকে আমরা সকল বিষয়গুলি জানলাম যা জেনে আপনারা সকলেই উপকৃত হবেন বলে আশা করি। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url