ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি

 

ইসলাম অর্থ শান্তি আত্মসমর্পণ অনুগত ইত্যাদি। মহান রাব্বুল আলামিনের কখন কোন আদেশ ও নিষেধ জেনে মেনে চলার মাধ্যমে তাকে পূর্ণ বিশ্বাস করে মেনে চলার নাম ইসলাম। ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো আজকে আমি আপনাদের খুব সুন্দর করে বোঝানোর চেষ্টা করব তাহলে চলুন আর দেরি না করে এক্ষুনি জেনে নেই কি সেই ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।



ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কালেমা

২ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নামাজ

৩ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রোজা

৪ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হজ

৫ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাকাত

ঈমানের মৌলিক ৭টি বিষয় কি কি

১।ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কালেমা

 লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) অর্থ= আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই মোহাম্মদ (সা:) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।

রূপকথা: আল্লাহ সবকিছু করতে পারে তার হুকুম দ্বারা মানুষ কিছুই করতে পারে না তার শক্তি দারা।

কালেমার লাভ: এই কালেবা যদি কেউ প্রতিদিন একশতবার পাঠ করে কেয়ামতের দিন আল্লাহতালা তাকে হাসতে হাসতে জান্নাতে দিবেন তাই এই কালেমা নিজে বেশি বেশি পাঠ করবো অপর ভাইকে দাওয়াত দিব ও তার জন্য দোয়া করব।

২।ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নামাজ

নামাজ এমন একটি ইবাদত প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ। মোহামদ (সা:) যেভাবে নামাজ পড়েছেন এবং তার সাহাবীদের যেভাবে নামাজ পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন ঠিক অনুরূপ নামাজ আদায় করা।

নামাজের লাভ: কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আল্লাহতালা তাকে পাঁচটি পুরস্কারে পুরস্কৃত করবেন ১ রিজিকের পেরেশানি দূর করবে ২ কবর আযাব মাফ করবেন ৩ আমলনামা ডান হাতে দিবেন ৪ বিনা হিসেবে জান্নাতে দিবেন ৫ বিদ্যুৎ গতিতে পুলসিরাত পার করাবেন।

৩।ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রোজা

রোজা হলো এমন একটি ইবাদত প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ। পৃথিবীতে এমন কোন এবাদত নেই যার পুরস্কার আল্লাহতালা নিজেই দিবেন । রোজা হল এমন একটি ইবাদত যার পুরস্কার মহান রাব্বুল আলামিন নিজ হাতে দিবেন। তাই ইসলামে এই রোজার গুরুত্ব অনেক বেশি।

রোজার লাভ:১ জাহান্নাম থেকে মুক্তি জাহান্নাম তার জন্য 70 বছরের দূরে সরে দেয়। ২ রোজার পুরষ্কার আল্লাহ তা'আলা নিজেই দেন ।৩ রোজাদারের মুখ আল্লাহতালার কাছে মেশকো আম্বরের চেয়েও বেশিসুগন্ধি । ৪ রোজা মানুষের শরীরে ঢাল শুরুপ।

৪।ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হাজ্জ

হজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হজ কেবলমাত্র ধনী ব্যক্তিদের উপর ফরজ। অর্থাৎ যাদের নেসাব পরিমাণে সম্পদ আছে শুধুমাত্র তাদের উপর হজ ফরজ। হজ মানুষের জীবনে একবার ফরজ তবে কেউ যদি এর অতিরিক্ত আদায় করে তাহলে সেটি তার জন্য নকল হবে।

হাজের লাভ:

১। হজ্জ পালনকারী নবজাতকের মত গুনাহমুক্ত ২। হজের একমাত্র প্রতিদান জান্নাত ৩। হজ মানুষের পূর্ববর্তী গুনাহকে ধ্বংস করে দেয় ৪। হজের সম্মানে পাথর বৃক্ষ মাটি তার জন্য তালবিয়া পাঠ করে ৫। হজ দরিদ্রতা দূর করে ৬। হাজ্জ হল শ্রেষ্ঠ জিহাদ ৭। অন্যতম আমল ৮। হাজীগণ আল্লাহতায়ালার মেহমান ৯। ফেরেশতাদের সামনে হাজীদের প্রশংসা ১০। হজে মৃত্যুবরণ কারী কিয়ামতের দিন আলবিয়া পাঠ করতে করতে উঠবে।

৫।ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাকাত

যাকাত ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ যা প্রত্যেক সম্পদশালী মুসলমানদের জন্য ফরজ ইবাদত। অর্থাৎ ধনী ব্যক্তিরা যাদের নেশাব পরিমাণ মাল রয়েছে তারা একটি নির্দিষ্ট অংশ গরিবদের মাঝে বন্টন করা কে যাকাত বলে।

যাকাত ফরজ হওয়ার  শর্ত : নেসাব পরিমাণের সম্পদের অধিকারী হওয়া এই সম্পদ এক বছর থাকা ঋণ না থাকা অতিরিক্ত টাকা থাকা।

যাকাতের লাভ:

১।যাকাত দিলে সম্পদ বৃদ্ধি পায় ২। যাকাত দিলে সমাজের মানুষের দরিদ্রতা দূর হয় ৩। যাকাত দিলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায় ৪। যাকাত আদায়কারী আখেরাতে চিন্তামুক্ত থাকবে ৫। যাকাত জান্নাতের অন্যতম মাধ্যম ৬। যাকাত অন্তরে প্রশান্তি লাভের মাধ্যম ৭। যাকাত দরিদ্রতা বিমোশনের প্রধান মাধ্যম ৮। যাকাত আল্লাহতালা গজব থেকে পরিত্রাণের অন্যতম মাধ্যম ৯। যাকাত মানুষকে অর্থনৈতিক পাপ থেকে রক্ষা করে ১০ ।যাকাত আদায় আল্লাহর পুরস্কার লাভের মাধ্যম ।

ঈমানের মৌলিক সাতটি বিষয়ের বর্ণনা

১। আল্লাহ তা আলার প্রতি বিশ্বাস করা ২। নবী ও রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস করা ৩। ফেরেশতাগণের প্রতি বিশ্বাস করে ৪। আসমানি কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস করা ৫। আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস করা ৬। তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস করা ৭। মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস করা।

১।আল্লাহ তায়া আলা প্রতি বিশ্বাস করা

আল্লাহতালা এক ও অদ্বিতীয় তার কোন সমকক্ষ নেই। তিনি এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকারী তিনি একমাত্র পালনকর্তা। সমস্ত প্রশংসা শুধু তার জন্য  ,বিচার দিনের মালিক তিনি 

  ২। ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস করা

ফেরেশতারা ফেরেশতাগণ সম্মানী ফেরেশতাগণ আল্লাহর হুকুমে মানুষের বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করে তারা আল্লাহর হুকুম পালন করে ফেরেশতাগণ সর্বদাই আল্লাহর এবাদত করে ফেরেশতাগণ নূরের তৈরি  ফেরেশতা মিথ্যা কথা বলে না আল্লাহর কোন আদেশ নিষেধ অমান্য করে না তারা সর্বদাই ।

৩।আল্লাহর কিতাবের প্রতি বিশ্বাস করা:

আল্লাহর পক্ষ থেকে যে সব কিতাব পাঠানো হয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো আল কুরআন এই কোরআন জিবরাঈল (সা:) এর মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ(সা:) এর উপর নাযিল করা হয়েছে। বড় বড় আসমানী চারটি কিতাব ১ তাওরাত ২ জব্বুর ৩ ইঞ্জিল ৪ কুরআন মাজীদ ।

৪।সকল রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনা

প্রত্যেক রাসুল গোনের প্রতি ঈমান আনা পৃথিবীতে প্রায় শোয়া লক্ষ নবী প্রেরণ করা হয়েছে । সর্বপ্রথম নবী আদম  আলাইহি(সা:) ও শেষ নবী মোহাম্মদ(সা:) তারপরে আর কোন নবী আসবেনা।

৫। আখেরাতের প্রতি ঈমান আনা

মৃত্যুর পরে মানুষকে আবার পুনরায় জীবিত করা হবে। এ কথা বিশ্বাস করা সেখানে আমাদেরকে আমাদের আমাদের নেকির বিনিময় জান্নাত দিবে । আর গুনাহের বিনিময়ে জাহান্নাম দিবেন এই কথা বিশ্বাস করা।

৬। তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস করা।

 আমাদের ভাগ্যে যা লিখা আছে এই কথার প্রতি বিশ্বাস করা ভালো-মন্দ সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে যা আমরা জন্মের আগে লিখে , দিয়ে রেখেছি।

৭।আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস করা

মৃত্যুর পরে আমাদের সকলকে আমার জীবিত করা হবে আমাদের অমল অনুযায়ী কাউকে জান্নাত ও কাউকে জাহান্নাম দেওয়া হবে । এই জগতের শেষ আছে কিন্তু আখেরাতের জগতের কোন শেষ নেই।

























এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url