জিকির করার ফজিলত সম্পর্কে বর্ণনা

 

জিকির আল্লাহতায়ারার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান যে সকল বান্দা আল্লাহতালার নৈকট্য লাভ করে তার মধ্যে অন্যতম হলো জিকির। মহান আল্লাহতালা কুরআনে অসংখ্য জিকিরের আয়াত আয়াত নাজিল করেছেন। রাসুল সাঃ হাদিসে ও জিকিরের ফজিলত বর্ণনা করেছেন।




কোন বান্দা যদি জিকির করে আল্লাহতালা তাহাকে তিনটা পুরস্কার দিবে ১। মহান আল্লাহতালা বলেন যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যা আমার জিকির করে  আমি আল্লাহ নিজে তার উপর রহমত দিব ২। ফেরেস্তা তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকে ৩। সমস্ত গুনাহের অন্ধকার থেকে ঈমান ও আমলের দিকে নিয়ে আসে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ

  1. জিকিরের গুরুত্ব ও ফজিলত
  2. শ্রেষ্ঠ জিকির কি
  3. সুবহানাল্লাহ জিকিরের ফজিলত
  4. আলহামদুলিল্লাহ জিকিরের ফজিলত
  5. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকিরের ফজিলত
  6. ইস্তেগফার জিকিরের ফজিলত
  7. জিকিরের মজলিসের ফজিলত
  8. জিকির করার পদ্ধতি

জিকিরের গুরুত্ব ও ফজিলত

যাদের সামনে আল্লাহতালার জিকির করা হলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে। এক ব্যক্তি নবী কারিম সাঃ এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল। ইয়া রাসুল আল্লাহ ইসলামের এত বিধি বিধান আমি মনে রাখতে পারি না আমাকে সহজ একটি আমল শিক্ষা দিন। তখন রাসুল করিম সাঃ বললেন তোমার জিব্বা যদি জিকিরে তরতাজা হয়ে যায় তাহলে মরণের পর তুমি নাজাত পেয়ে যাবে। জিকিরকারী বান্দা কে রহমতের ফেরেশতা ঘিরিয়ে রাখে জিকির করলে অন্তর নরম হয়।

জিকির আল্লাহতায়ারার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান যে সকল বান্দার  যাদের সামনে আল্লাহতালার জিকির করা হলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে।ফজিলত কোন বান্দা যদি জিকির করে আল্লাহতালা তাহাকে তিনটা পুরস্কার দিবে ১। মহান আল্লাহতালা বলেন যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যা আমার জিকির করে  আমি আল্লাহ নিজে তার উপর রহমত দিব ২। ফেরেস্তা তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকে ৩। সমস্ত গুনাহের অন্ধকার থেকে ঈমান ও আমলের দিকে নিয়ে আসে। 

শ্রেষ্ঠ জিকির কি

যে জিকির আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ এরপর আল্লাহর কাছে যে জিকির বেশি প্রিয় সেটি হল দরুদ শরীফ পাঠ করলে আমি আল্লাহ তালা তার প্রতি ১০ বার রহমত বর্ষণ করে। শ্রেষ্ঠ জিকির হলো ইস্তেগফার পাঠ করলে আল্লাহতালা তাকে সকল রকম পেরেশানি থেকে মুক্তি দান করবে।

 ইস্তেগফার পাঠ করলে পিছনের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। ইয়া যালজালালিলওল ইকরাম । লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি আলিউল আজিম। লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন। সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার তাছাড়াও কোরআন তেলাওয়াত আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠ জিকির। যে ব্যক্তি সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আল্লাহু আকবার বলবে তার জন্য মিজানের পাল্লা পরিপূর্ণ ঘোষণা করা হবে

সুবহানাল্লাহ জিকিরের ফজিলত

এক হাদিসে রাসূলে করীম সাঃ বলেন জান্নাতীরা যখন জান্নাতে আরাম করবে তখন এক জান্নাতি দেখবে যে তার উপরের জান্নাতি যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করবে অর্থাৎ এক পাশ থেকে আরেক পাশ হবে সেখান থেকে এত সুন্দর সুঘ্রাণ আওয়াজ বের হবে   যে সুঘ্রান আওয়াজ তার জন্য তিনি তখন সে জান্নাতি আল্লাহতালার কাছে জিজ্ঞেস করবে। তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেন তোমাদের নামাজে রোজা সকল গুণগতমান ও সওয়াব ছিল একই সমান। শুধু তার আর তোমার মধ্যে পার্থক্য। শুধু সুবাহানাল্লাহ তার আমলনামায় বেশি আছে । তারপর নিচে জান্নাতি জিজ্ঞেস করবে যে যদি শুধু একবার সুবহানাল্লাহ মান এত হয় তাহলে এর দূরত্ব কত। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমাদের মাঝে পার্থক্য হল আসমান ও জমিনের সমান।

আলহামদুলিল্লাহ জিকিরের ফজিলত

কোন বান্দা যদি একবার আলহামদুলিল্লাহ বলে তার মিজানকে ভরে দেওয়া হবে। আলহামদুলিল্লাহ তোমার মিজানকে পরিপূর্ণ করে দিবে।  একবার যদি আপনি সুবহানাল্লাহ পড়েন তাহলে পুরো আকাশ ও জমিনের মাঝে যত ফাঁকা জায়গা আছে সকল ফাঁকা জায়গা নেকি দ্বারা পূর্ণ করে দেওয়া হবে।

রাসূল করীম সাঃ বলেন সবচাইতে উত্তম দোয়া হলো আলহামদুলিল্লাহ। একশতবার আলহামদুলিল্লাহ পড়লে আল্লাহর পথে একশ উট দানের চেয়েও বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকিরের ফজিলত

হযরত মুয়াজ রাঃ হতে বর্ণিত রাসূল করীম সাঃ বলেছেন , যে ব্যক্তি এ কলাসের সাথে একবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সর্ব উত্তম জিকির। মৃত্যুর আগে যার শেষ কথা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। মিজানের পাল্লায় সবচাইতে বেশি ভারী হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর জিকির। কিয়ামতের দিন সবচাইতে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হবে সেই যে এক নিষ্ঠ ভাবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে। রাসুল সাঃ বলেছেন তোমরা মৃত্যু পথযাত্রীকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দাওয়াত দেও, কারণ তার শেষ কথা যদি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হয় তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

একদিন মুসা আ: আল্লাহ কে জিজ্ঞেস করল ইয়া রব্বুল আলামিন আমাকে এমন একটি অমল শিখাইয়া দিন যে আমল দুনিয়াতে কাউকে শিক্ষা দেওয়া হয়নি। তখন আল্লাহতালা বললেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মূসা আঃ বললেন এই জিকির তো সকলেই জানে আমাকে অন্য একটি আমল দিন। তখন আল্লাহতালা বললেন এর চেয়ে উত্তম জিকি আর আমার কাছে নেই। হে মুসা, এই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যদি এক পাল্লায় আর সাত আসমান ও জমিন যদি আরেক পাল্লায় রাখা হয় তাহলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাল্লা বেশি ভারী হবে।


ইস্তেগফার জিকিরের ফজিলত

নবী করীম সাঃ বলেন কেউ যদি ইস্তেগফার জিকিরের আমল করা অবশ্যক করে নেয় তাহলে সংকীর্ণতা থেকে আল্লাহতালা উদ্ধারের রাস্তা দেখায় দিবে। শুধু তাই না আপনি বহুদিন ধরে পেরেশানিতে আছেন রাসুল সঃ বলেন আল্লাহ পাক তাকে সমস্ত পেরেশানি থেকে মুক্তি দান করুন। মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে উত্তম মানুষ সেই যে পাপ করে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে আস্তাগফিরুল্লাহি অতুবিলাইহি। আল্লাহর নবী বলেন আমি প্রতিদিন 70 বার আল্লাহর কাছে বলি আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়াতুবিলাইহি।

অন্য আরেক হাদীসে এসেছে আল্লাহর নবী বলেন আমি প্রতিদিন ১০০ বারেরও অধিক বলি আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়াতু বিলাই। আয়েশা রাঃ বলেন যখন কোন দাস-তখন আল্লাহ তা'আলা তার কথা মেনে নেয়দাসী নিজে পাপের কথা স্বীকৃতি দেয় অর্থাৎ এই কথা বলে আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়াতুবিলাইহি তখন আল্লাহতালা তার কথা মেনে নেয়। মহান আল্লাহ তায়ালা রাতে হাতখান বাড়িয়ে দেন যে হে বান্দা তোমরা বলো আস্তাগফিরুল্লাহিওয়াতুবিলাইহি। আবার দিনে হাত খান বাড়িয়ে দেন বলেন তোমরা বলোআস্তাগফিরুল্লাহিওয়াতুবিলাইহি।

জিকিরের মজলিসের ফজিলত

জিকিরের মজলিস হল সরাসরি রহমতের মজলিস। জিকিরের মজলিস সরাসরি বরকতের মজলিস। আল্লাহতালা জিকিরের মজলিস নিয়ে গর্ব করে ফেরেশতাদেরকে বলে দেখো দেখো কেন এরা উপস্থিত হয়েছে এরা আমার জন্যই জমা হয়েছে এরা আমার তসবির রহমত বরকত এর জন্যই উপস্থিত হয়েছে। এরা আমায় দেখে নাই তখন আল্লাহতালা বলেন ফেরেশতারা বলতো এরা যদি আমাকে দেখতে তাহলে কি করতো তখন ফেরেশতারা বলেন আল্লাহ যদি এরা তোমাকে দেখতে তাহলে আরও বেশি ইবাদত করতে।

পোস্ট সূচীপত্রঃআল্লাহতালা বলেন এরা কি চায়।ফেরেশতারা বলে তোমার কাছে জান্নাত চাই আর কি চায় জাহান্নাম থেকে বাঁচতে তখন আল্লাহ তা'আলা বলেন এরা কি জান্নাত জাহান্নাম দেখেছে ফেরেশতারা বলেন না আল্লাহ তাআলা বলেন যদি এরা জান্নাত ও জাহান্নাম দেখতো তাহলে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে ও জান্নাত চাইতো আল্লাহ তা'আলা বলেন আমি তাদেরকে জান্নাত দিলাম ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিলাম।


শেষ কথা জিকির করার পদ্ধতি  

জিকির একটি নফল ইবাদত আল্লাহ তাআলা বলেন তোমরা জিকির মনে মনে করো। স বিনয়ে কর জিকির করো ভিত বিহবল চিত্তে জিকির করো অনুচ্চ সরে।  এই জিকির গুলি করবো হাতের আঙ্গুলের গিরায় আবার কোন কোন হাদিসে পাওয়া যায় তাজবি দানায় জিকির করা যায়।





























এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url