পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নামাজ রাসূল সা: তার সাহাবীদেরকে বারবার নামাজের কথা বলেছেন।সালামকোরআন শরীফে আল্লাহতালা বিভিন্ন জায়গায় সালাত আদায় করার কথা বলেছেনরাসুল সা: কে এক সাহাবী জিজ্ঞাসা করল।
হে আল্লাহর রাসূল। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল কোনটি রাসূল সা:
বললেন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল নামাজ (বুখারী ও মুসলিম) যে ব্যক্তি
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে আল্লাহতালা তাকে পাঁচটি পুরস্কারে পুরস্কৃত
করবে।
১। তার রেজেকের পেরেশানি দূর করে দিবেন
4। বিজলির ন্যায় পুলসি৪রাত পার করাবেন
৫। বিনা হিসাবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন
১। তার রেজেকের পেরেশানি দূর করে দিবেন
আমরা দুনিয়াতে যা কিছু করি শুধুমাত্র আমাদের রেজেকের জন্য কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ পড়ে তাহলে তার রেজেকের জন্য আর কোন পেরেশানি করতে হবে না আল্লাহ পাক তার
রিজিকের জিম্মাদারী নিয়ে নিবেন তাহলে আপনি এখন ভাবুন যে কারো রেজেকের
জিম্মাদারি যদি আল্লাহ নিয়ে নেয় তাহলে কি আমাদের আর কোন টেনশন আছে।
২। কবর আজাব থেকে মুক্তি দিবেন
মানুষ মৃত্যুর পরে যেখানে রেখে আসা হয় সে জায়গাটার নাম হলো কবরে ফেরেশতা এসে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে আমাকে জিজ্ঞেস করবে সেখানে যদি আপনি আমি ঠিকঠাক উত্তর দিতে না পারি তাহলে আপনার আমার জন্য তখন থেকে খবর আজাব শুরু হয়ে যাবে। আর আপনি আমি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি তাহলে আল্লাহতালা কবরের আজাব থেকে আপনাকে আমাকে মুক্তি দান করবেন।
৩। ডান হাতে আমলনামা দিবেন
কিয়ামতের দিন মানুষেরা সবথেকে বেশি টেনশন থাকবে যে আপনার আমার আমলনামা কোন হাতে
দেওয়া হবে যদি কারো আমলনামা একবার ডান হাতে পায়ে যায় তাহলে তার আর কোন চিন্তা
নেই। আমলনামা ডান হাতে বলতে বুঝায় কেয়ামতের দিন আমলনামা যদি কারো ডানহাতবাদদিয়ে
বাম হাতে দেওয়া হয়, বাম হাতে আমলনামা দেওয়াটা এত কষ্টের তা হয়তো আমি
আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না।
৪। বিজলির ন্যায় পুলসিরাত পার করাবেন
কেয়ামতের দিন মানুষের যখন হিসাব নিকাশ শেষ হয়ে যাবে তখন তার পুলসিরাত
পার হতে হবে এখানে বিভিন্ন হাদিসে বলা হয়েছে যে যার আমল যেরকম ঠিক সে
তেমনভাবে সেখানে পার হবে। যেমন: কেহ সেখানে পুলসিরাত পার হবে হেঁটে হেঁটে
আবার কেহ পার হবে দৌড়ে ইত্যাদি ভাবে আপনি আমি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি তাহলে
আল্লাহ পাক আপনাকে আমাকে বিজলির নাই পুলসিরাত পার করাবেন।
৫। বিনা হিসাবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন
বিভিন্ন হাদিস অনুযায়ী জানাযায় কেয়ামতের দিন যদি কারো কাছ থেকে এক না হিসাব
চাওয়া হয় সে সঠিক হিসাব দিয়ে জান্নাতে যেতে পারবে না কারণ সেখানে ছোট বড় সকল
গুনাহের হিসাব নেওয়া হবে হবে এই হিসাব আপনি আমি দিতেও পারবো না জান্নাতে যেতে
পারবো না। আর আপনি আমি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি তাহলে আল্লাহ পাক আপনাকে
আমাকে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সেদিন হিসেবে থেকে আপনাকে মুক্ত
রাখবেন কোন হিসাবে নেওয়া হবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url