এমআরআই করার পর করনীয়
এমআরআই করার পর করণীয়
১. এমআরআই শেষে সাধারণ বিশ্রাম
এমআরআই করার পর বেশিরভাগ মানুষের জন্য কোনো বিশেষ বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না। তবে যদি রোগীকে পরীক্ষার আগে কোনো সেডেটিভ বা ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা ভারী কাজ না করা ভালো। কারণ ওষুধের প্রভাব পুরোপুরি কেটে যেতে সময় লাগে। তাই পরীক্ষার পরপরই গাড়ি চালানো বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
২. শরীরে ব্যবহৃত কনট্রাস্ট ডাই-এর প্রভাব
অনেক সময় এমআরআই করার সময় ডাক্তার কনট্রাস্ট ডাই ব্যবহার করেন, যাতে শরীরের টিস্যু বা রক্তনালী আরও স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এই কনট্রাস্ট ডাই সাধারণত ক্ষতিকর নয়, তবে কিছু মানুষের অ্যালার্জি হতে পারে। যদি ডাই ব্যবহারের পর ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, মাথা ঘোরা বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৩. প্রচুর পানি পান করা
যদি কনট্রাস্ট ডাই ব্যবহার করা হয়, তাহলে পরীক্ষার পর শরীর থেকে ডাই বের হয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য প্রচুর পানি পান করা জরুরি। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি খেলে কিডনি ভালোভাবে ডাই বের করে দিতে পারে। এতে শরীর দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং কোনো অস্বস্তি কমে যায়।
৪. দৈনন্দিন কাজে ফেরার নিয়ম
যদি কোনো সেডেটিভ ব্যবহার না করা হয়ে থাকে, তবে এমআরআই করার পরপরই স্বাভাবিক কাজকর্মে ফেরা সম্ভব। অফিসের কাজ, হালকা ব্যায়াম, হাঁটা বা ঘরের স্বাভাবিক কাজ সাধারণত নিরাপদ। তবে ভারী ব্যায়াম, মেশিন চালানো, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা ইত্যাদি কাজ করার আগে শরীরের অবস্থা বিবেচনা করতে হবে। দুর্বলতা বা মাথা ঘোরার অনুভূতি থাকলে বিশ্রাম নেওয়া উত্তম।
৫. পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা
এমআরআই করার পর রোগী সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট পান না। সাধারণত একজন রেডিওলজিস্ট ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট তৈরি করেন। এতে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এই সময় ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে এবং রিপোর্ট প্রস্তুত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
৬. চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা
এমআরআই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চিকিৎসক পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশ দেন। কারও ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টেস্ট দরকার হতে পারে, আবার কারও ক্ষেত্রে ওষুধ পরিবর্তন বা নতুন চিকিৎসা শুরু করতে হতে পারে। চিকিৎসকের নির্দেশ যথাযথভাবে মেনে চললে দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কার্যকর হয়।
৭. শারীরিক অস্বস্তি বা জটিলতার ক্ষেত্রে করণীয়
এমআরআই করার পর সাধারণত বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তবে মাথা ঘোরা, অস্বাভাবিক ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, ত্বকে ফুসকুড়ি বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে যাদের কিডনি বা হৃদরোগ আছে, তাদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url